শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

একজন শাহজামাল এবং ধানগড়া ব্লাড ডোনার সোসাইটি

নাসিম আহমেদ রিয়াদঃ

শাহজামাল। বাবা আসাব উল্লাহ। বাড়ী রায়গঞ্জ উপজেলার ঝাপড়া গ্রামে। পেশায় একজন গাড়িচালক এবং গাড়ী ব্যবসায়ী। মানবতার টানে সে রক্তদানে কখনো পিছপা হয়নি। ধানগড়া ব্লাড ডোনার সোসাইটির উদ্যোগে শাহজামাল এ পর্যন্ত ৩ বার রক্ত দিয়েছে।

করোনার ভয়াবহতার মধ্যই ধানগড়া ব্লাড ডোনার সোসাইটির সদস্যরা মানব সেবায় নিজেদের গুটিয়ে রাখেননি। বরং যখনই কোন অসুস্থ মানুষের জন্য রক্তের প্রয়েজনে ফোন তখনই ছুটে চলা তাদের।

এরা কখনো রক্তদানে নিজেরাই হাত বিছিয়ে দিচ্ছে ডাক্তারের সুইয়ের নিচে আবার কখনো এলাকার মানবদরদী ভাইদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে রক্ত সংগ্রহে মাঠে নামে। পেয়েও যায় কাংখিত গ্রুপের রক্ত। পৌছে দেয় অসুস্থ রোগীর কাছে।

শাহজামাল তাদের মতই একজন। যিনি বার বার ধানগড়া ব্লাড ডোনার সোসাইটির ডাকে সাড়া দিয়ে রক্তদানে এগিয়ে এসেছে।

শুধু রক্তদানে নয় মানুষের কল্যানে এই টিমটি মানবিক সহায়তা নিয়ে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগী হয়ে।
এক ঝাক তরুণ উদ্দোমী যুবকরা ইতিমধ্যে সকলের মনে স্থান করে নিয়েছে।

আর এই টিম ওয়ার্কের সামনে যিনি আছেন তিনি হলেন রায়গঞ্জ উপজেলার গর্ব ডাঃ মাহমুদুল হক মাহমুদ।

সার্বক্ষনিক গাইড দিয়ে যুবকদের উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম।
সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক রণি বলেন, আমাদের টিম ম্যানেজমেন্টের মধ্য একটা ঐক্য আছে। সেই ঐক্য তৈরী ও ওয়েলডান টিম তৈরীতে কাজ করেন রকি হাসান, রবিন, নাবিল প্রমুখ।

সবাই গাইডারকে মেনে চলেন বলেই মানুষের পাশে সহজেই দাড়াতে পেরেছে ধানগড়া ব্লাড ডোনার সোসাইটি।

এই বিভাগের আরো খবর